গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোডমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘টাঙ্গাইলে যে স্থানে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ঘোষণা করেছে। পুলিশ এখনো গণতন্ত্র মঞ্চের জন্য সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করে দেয়নি। আমরা বলেছি, আমাদের রোডমার্চে বাধা দিতে আসবেন না।’
ঢাকা থেকে রোডমার্চ শুরুর পর প্রথম সমাবেশ গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তায় হবে উল্লেখ করে সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, এরপর টাঙ্গাইলে সমাবেশ হবে। পরে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও রংপুরে সমাবেশ করব। এসব সমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না।
জুনায়েদ সাকি দাবি করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কলঙ্কজনক যে নির্বাচন হয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভিসা নীতি (যুক্তরাষ্ট্রের) দেওয়া হয়েছে। গতকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে এটা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই। আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে বলে মনে করেন জুনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে একইভাবে (২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো) নির্বাচন করার চিন্তা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নীতি দিয়েছে।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেমন অবস্থান নিয়েছে, তেমন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আজকে তারা একা হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে, ভবিষ্যতে একতরফা নির্বাচন করতে চায় বলেই নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমের সঞ্চালনায় সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা মৎস্যভবন মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন। পরে গাড়িতে করে তাঁরা গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা করেন।
বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বিলুপ্তি, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন, সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে এই রোডমার্চের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এই রোডমার্চ করা হবে বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতারা।