বিএনপি পথ হারিয়ে পদযাত্রা করছে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি যদি পথই হারায়, তাহলে পদযাত্রা কীভাবে করে।
আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ওই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘পথ হারিয়ে পদযাত্রা করছি—এই কথার মধ্যেই তো মনে হয় পথ হারাইনি আমরা। পথ হারাইলে আবার পদযাত্রা করলাম কীভাবে।’
১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রাকে ইতিহাসের সফল কর্মসূচি বলে উল্লেখ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আসলে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে কোনো নজির নেই যে, কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয়ভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি এক দিনে ঘোষণা করেছে এবং বাংলাদেশের সব ইউনিয়নে এভাবে সফল হয়েছে। এ রকম নজির ইতিহাসে নাই।’
সরকারি দলের পাল্টা কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে তারা দুর্বল। এই পাল্টা কর্মসূচি কিন্তু তারা সফল করতে পারছে না। এ রকম যত দেবে, তত কিন্তু সরকারেরই ক্ষতি হবে। আমাদের ক্ষতি হবে না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার আছে। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছি।’
দলের সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলোর উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রাজধানীতে রাস্তা আমাদের দখলে আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করে প্রমাণ করেছি যে গ্রামের ইউনিয়নের রাস্তায়ও আমরা আছি। শুধু বিএনপি নয়, এটাতে সাধারণ জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় আছে।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
খন্দকার মোশাররফ সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ও অক্ষম সরকারের পরিবর্তন চাই বলেই বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ-মিছিলে জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের প্রতিটি কর্মসূচির দিন ক্রমাগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। বিরোধী দল সচেতনভাবে এসব প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেওয়ায় সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতারা হতাশ হয়ে আবোলতাবোল কথা বলে লোক হাসাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিতি ছিলেন।