অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের নামে বেশি সময় নিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের নামে বেশি সময় নিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে তারা বলেছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দুই ধরনের কথা বলেছেন।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবির পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশি সময় না নিয়ে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণারও আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় জাতির উদ্দেশে টেলিভিশন ও গণমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন; কিন্তু তাঁর কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাঁর নৈতিক স্খলন ঘটেছে। এরপর তিনি আর রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিদ্যমান আইন চলে না। এ সময় যেটা ঐতিহাসিক প্রয়োজন হিসেবে দেখা দিয়েছে, সেটিই চলবে। ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তা বিদ্যমান আইনকে অগ্রাহ্য করেই সামনে এগিয়ে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের নামে বেশি সময় নিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের সময়কাল ঘোষণা করতে হবে।