বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকট মোচনে প্রস্তাবিত বাজেট বিশেষ কোনো আশা জাগাতে পারেনি বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে মিল নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থ পাচার রোধ, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও সর্বোপরি ঋণখেলাপির পাহাড় কমিয়ে আনতে আর্থিক ক্ষেত্রে দুষ্কর্মের হোতাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থ পাচার রোধ, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ঋণখেলাপি ও আর্থিক খাতের দুষ্কর্মের হোতাদের বিচারের দাবিতে ২৫ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সভাপতিত্ব করেন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। এগুলো হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এ যাবৎ গৃহীত ব্যবস্থার পাশাপাশি পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা; রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থসম্পদ অর্জনকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি ও তাদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য বিশেষ কমিশন গঠন; ব্যাংক খাতে নৈরাজ্য ও লুট বন্ধ করে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে ব্যাংক কমিশন গঠন; অর্থ পাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং ঋণ খেলাপের ক্ষেত্রে অসংগতিপূর্ণ ব্যবস্থা রোধ করে ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করে অর্থ আদায় ও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের ব্যবস্থা করা।
এসব দাবি নিয়ে জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত করার পদক্ষেপ হিসেবে ২৫ জুন জেলা-উপজেলায় সভা–সমাবেশ, স্মারকলিপি পেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।