ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটানোর ঘটনায় ছাত্রদলের নিন্দা

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ‘থানায় নিয়ে’ নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় নিন্দা ও হতাশা প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এ ঘটনাকে ‘একটি পুরোনো ছাত্রসংগঠনের অমর্যাদাকর অবস্থান’ আখ্যা দিয়েছে বিএনপির ছাত্রসংগঠনটি। পাশাপাশি অতীতের সব পুলিশি নির্যাতনের দায়ে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এ দাবি জানিয়েছেন।

ব্যক্তিগত বিষয়কে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আজ দুপুরে হারুন অর রশিদকে প্রথমে পুলিশের রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে তাঁকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম রক্ষাকর্তা এডিসি হারুন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন ও শরিফ আহমেদকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে দাঁত ভেঙে ফেলেছেন। ১৫ বছর ধরে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ সারা দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ছাত্রদলসহ সব বিরোধী ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের নির্মম নির্যাতন করেছে৷ নির্যাতিত, মুমূর্ষু ছাত্রদের তারা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে৷ পুলিশ তাঁদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে আবার নির্যাতন করেছে।