সংসদীয় নারী আসন

‘প্রত্যাশা ও উৎকণ্ঠা’ নিয়ে গণভবনে গেলেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বসেছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ১ হাজার ৫৪৯ জন। সংসদে আওয়ামী লীগের আসন এবার ৪৮টি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লেক রোডের গেট দিয়ে গণভবনে প্রবেশ করতে হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা গণভবনে প্রবেশ করা শুরু করেন। কেবল মনোনয়নপ্রত্যাশীরাই গণভবনে প্রবেশ করার সুযোগ পেলেও তাঁদের অনেককেই কর্মী–সমর্থক ও স্বজনদেরও নিয়ে আসতে দেখা গেছে। পরে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়ন ফরমের স্লিপের অংশ দেখিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন।

গণভবনে প্রবেশের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মাসুদা খানম প্রথম আলোকে বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে মূলত বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করা হয়। দীর্ঘদিন যাঁরা রাজনীতির মাঠে ছিলেন, যাঁদের কোনোভাবেই দল সুযোগ দিতে পারেনি, তাঁদের সবদিক বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুযোগ দেন। এবার তাঁকেও মূল্যায়ন করবেন বলে মনে করেন তিনি।

শেখ মাসুদা খানম বলেন, সামনে দলের জন্য কাজ করতে চান—এমনটাই প্রত্যাশা নিয়ে গণভবনে এসেছেন।

গণভবনে প্রবেশের আগে অভিনেত্রী সোহানা সাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুবই এক্সসাইটেড। প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণ মানুষ। বুঝেশুনে বাছাই করবেন। নেগেটিভ ভাবে দেখছি না। সিজনাল রাজনীতি করার জন্য আসিনি। পুরো সময় ধরেই রাজনীতি করতে চাই। যাত্রা কেবল শুরু।’

চট্টগ্রাম থেকে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নের স্বর্ণযুগ চলছে। ১ হাজার ৫০০–এর বেশি নারী আমরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের খবর রাখেন। আশা করি তিনি যোগ্য লোকদের মূল্যায়ন করবেন।’

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ শেষে আজ দুপুর ১২টায় দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভার মাধ্যমেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় নারী আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।