দুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। আজ রোববার বিকেলে তিনি নির্বাচন ভবনে হাজির হন।
৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল ইসি।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার লঙ্ঘন।
চিঠি পেয়ে আজ বিকেলে ইসিতে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। শুনানিতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন)।
শুনানি শেষে সায়েদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মূলত একটি ভিডিও এখানে দেখানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী তিনজনের জন্য ভোট চেয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোট চাওয়ার বিষয়টি দুবার বলা হয়েছে। এর মানে এটি সুপার এডিট হতে পারে। এ বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ করলে ফরেনসিক করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
সায়েদুল হক বলেন, প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কারণে যদি তাঁর জানার বাইরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে, সে জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে হাসতে দেখা যায়। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সায়েদুল হক বলেন, ‘উনি আসলে অতি শোকে পাথর হয়ে গেছেন। ওনার মতো একজন ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ..।’