দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

আওয়ামী লীগ-জাপার আসন ভাগাভাগির বৈঠক হতে পারে বুধবার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির (জাপা) আলোচনা হতে পারে বুধবার। তাতে আসন ভাগাভাগির বিষয় আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও জাপার নেতারা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নেয় জাপা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলটি ২২টি আসনে ও ২০১৪ সালে ২৯টি আসনে জয়ী হয়। জাপা সূত্রে জানা গেছে, সরকারি দল সমঝোতার উদ্যোগ নিলে আসন্ন নির্বাচনে জাপা কমপক্ষে ৪০টি আসন দাবি করবে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪-দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এর আগে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাড়িতে আমির হোসেন আমু বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে।

জাপার সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করার আভাস দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদও। তিনি মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচনযুদ্ধে নেমেছে, সে জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

জানা গেছে, জাপার অধিকাংশ নেতাই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নন। এ ক্ষেত্রে দলের বর্তমান সংসদ সদস্যসহ নেতাদের বড় একটি অংশ গত দুবারের মতো এবারও সরকারের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে যেতে চান। কারণ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও তাঁদের জেতার সম্ভাবনা নেই।

এ ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির কৌশল কী হতে পারে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক প্রথম আলোকে, জাপার নেতাদের সঙ্গে বুধবার আওয়ামী লীগের নেতাদের বৈঠক হতে পারে। এ বৈঠকে আসনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।