আদম তমিজী হককে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

আদম তমিজী হক
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

দল, সরকার ও একজন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে সমালোচনা করার দায়ে আদম তমিজী হককে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আদম তমিজী হককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হচ্ছে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, সিদ্ধান্ত হয়েছে রোববার রাতেই। তবে আনুষ্ঠানিক চিঠি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তরে সোমবার সকালে পাঠানো হবে।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে যেকোনো কমিটি যে কাউকে বহিষ্কার করতে পারে। তবে তা সুপারিশ আকারে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠাতে হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন দিলেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার টানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার আগ্রহ জানিয়েও পোস্টার টানিয়েছিলেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন।

সেই ভিডিওতে আদম তমিজী হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাই না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’

এ ছাড়া ফেসবুক লাইভে তিনি সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর মালিকানাধীন হক গ্রুপের টঙ্গীর কারখানা দখলের অভিযোগ তোলেন।

এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে বিব্রত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই মহানগর আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।