দেশে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে জানানো হয়, খাদ্য অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক দরপত্র ও জিটুজির (সরকারের সঙ্গে সরকার) মাধ্যমে চাল ও গম আমদানি করে থাকে। চলতি অর্থবছরে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। দেশে উৎপাদিত চাল বাজারজাত করে চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গম আমদানি করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য বাজারজাত করার প্রতি বিশেষ নজরদারি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় নিরুৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে খাদ্য অপচয় রোধে প্রচার-প্রচারণার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিয়ে, পিকনিক, সামাজিক কর্মসূচি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে খাদ্য অপচয় রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মো. মকবুল হোসেন, মো. মোস্তফা আলম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, এস এম কামাল হোসেন, খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী এবং দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা বৈঠকে অংশ নেন।