গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চ

সরকার খালেদা জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণ করছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো জরুরি। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণ করছে।

আজ সোমবার রাতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে যে দেশে তাঁর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার চিকিৎসকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার প্রতি অমানবিক ও অসাংবিধানিক আচরণ করছে।

বিবৃতিতে নেতারা দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে সরকারকে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকার দায় এড়াতে পারবে না বলে তাঁরা সরকারকে সতর্ক করে দেন।

বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৯ বছর। শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও প্রবীণ বয়সে খালেদা জিয়া কার্যত কারাবন্দী। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে আক্রান্ত। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

কারাগারে অমানবিক পরিবেশেও খালেদা জিয়া অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন রোগের জটিলতায় তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন করে বসানো হয়েছে পেসমেকার। চিকিৎসকেরা তাঁর অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক।

দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে, উপরন্তু একজন জেলবন্দী ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ। তাঁর মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজন হলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জামিনে মুক্তি পাওয়াও তাঁর নাগরিক অধিকার।

বিবৃতি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম।