ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র নারী ভোটারদের লম্বা সারি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তোলা
ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র নারী ভোটারদের লম্বা সারি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তোলা

নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি, সময় বেশি লাগায় ভোট পড়ছে কম

সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। যদিও নারীদের ভোট দেওয়ার গতি বেশ ধীর। আঙুলের ছাপ মেলাতেও সময় বেশি লাগছে। এসব কারণে দিন শেষে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের হার কম হতে পারে বলে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মোট তিনটি কেন্দ্র। একটি নারী, একটি পুরুষ ও একটি নারী-পুরুষ মিলিয়ে। ভোট শুরুর চার ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় তিনটি কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে।

নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ভবনের নিচতলায় নারী কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭২৪। এই কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫০টি। মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৪৩৭; ভোট পড়েছে ৬৭৪টি।

নারী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ বলেন, কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি সকাল থেকেই অনেক বেশি। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে নারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। বয়স্ক নারীদের আঙুলের ছাপ পেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে সময় লাগছে বেশি।

নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কেন্দ্রটিতে মোট পাঁচটি ভোটকক্ষ। এর তিনটি নারীদের ও দুটি পুরুষ ভোটারের। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের দুটি পুরুষ ভোটকক্ষে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ১৩৫ ও ১১৯টি। নারীদের তিনটি ভোটকক্ষে ভোট পড়েছে ৯৭, ৭৩ ও ৭৬টি।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি নারী ভোটকক্ষের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। বাঁশবাড়ী এলাকা থেকে আসা সাবরিনা আক্তার বলেন, ‘এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। খুব আস্তে আস্তে লাইন আগাচ্ছে। আনসাররা বলছে, আরও নাকি দুই ঘণ্টা দাঁড়ায় থাকা লাগবে।’

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। লম্বা সারি বাইরে। কিন্তু ভোট দেওয়ার গতি তুলনামূলক কম। গতি বাড়াতে পুরুষ কক্ষের একজন সহকারী কর্মকর্তাকে নারী ভোটকক্ষে আনা হয়েছে। এখন (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত ২৫ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছে।

অনেক ভোটার গোপন কক্ষে যাওয়ার পর বুঝতে পারছেন না ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হবে। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসাররা বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে পর্দাঘেরা গোপন কক্ষে উঁকি দিয়েও ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁদের।

নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। লম্বা সারি বাইরে। কিন্তু ভোট দেওয়ার গতি তুলনামূলক কম। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তোলা

এই কেন্দ্রের ২ নম্বর নারী ভোটকক্ষে পোলিং কর্মকর্তাকে গোপন কক্ষে উঁকি দিয়ে ভোটারকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেল। জানতে চাইলে কক্ষে থাকা বিভিন্ন প্রতীকের এজেন্টরা বললেন, ভোটাররাই ভেতরে গিয়ে জিজ্ঞেস করছেন কী করতে হবে। তাই সবার অনুমতি নিয়ে ওই পোলিং কর্মকর্তা দেখিয়ে দিয়েছেন, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হবে।