বিদেশি ‘প্রভুর’ প্রেসক্রিপশনে আগামী নির্বাচন হবে না

বিএনপির পাল্টা হিসেবে সপ্তাহব্যাপী ঢাকা ও সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ

কোনো বিদেশি ‘প্রভুর’ প্রেসক্রিপশনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, বিএনপি জানে, সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তারা পাবে না। তাই তারা লাশের রাজনীতি করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে বলে দাবি যুবলীগের। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

শেখ হাসিনার অধীনেই এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আগামী নির্বাচন অবাধ হবে দাবি করে ফজলে শামস বলেন, বিএনপি এখন লাশের রাজনীতি করছে। নির্বাচন বানচাল করতে তারা অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাইছেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ এবং সরব দৃষ্টি রাখব। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করব।’

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় মানুষের ওপর হামলা করে জানমালের ক্ষতি করতে পারে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ জনগণের জানমালের ঢাল হয়ে রাজপথে থাকবে।

কর্মসূচি

সমাবেশ থেকে আগামী শুক্রবার বেলা তিনটায় অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকায় বিএনপিরও পদযাত্রা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়

এ ছাড়া যুবলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার বিভাগীয় শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ। রোববার দেশের প্রতিটি উপজেলা/থানা ও পৌরসভায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। আগামী সোমবার প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে যুবলীগ। আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরে জাতীয় সংসদের আসনভিত্তিক এবং দেশের সব মহানগরের প্রতিটি থানায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সমাবেশে যুবলীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুর আলম, হাবিবুর রহমান, মো. নবী নেওয়াজ, সাজ্জাদ হায়দার, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, বিশ্বাস মুতিউর রহমান, বদিউল আলম, মাজহারুল ইসলাম, জাকির হোসেন, মাইন উদ্দিন, এইচ এম রেজাউল করিম, জয়দেব নন্দী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।