দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের (প্রার্থিতা বৈধ বা বাতিল) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এই আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে প্রথম ১০ জনের মধ্যে ৬ জন মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
আপিলে যে ছয়জন মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন, তাঁরা হলেন—টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার, যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমান, জামালপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক জিয়া, নোয়াখালী-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালেবুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নাসিরুল ইসলাম খান ও ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
আপিলে মনোনয়ন বাতিল বহাল রয়েছে দুজনের। তাঁরা হলেন—টাঙ্গাইল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব ও জামালপুর-২ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল হালিম মণ্ডলের।
প্রথম ১০ জনের শুনানিতে দুজন প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন—যশোর-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান ও টাঙ্গাইল-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ। তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের (প্রার্থিতা বৈধ বা বাতিল) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে মোট ৫৬১টি আপিল হয়েছে। এর মধ্যে বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে অন্তত ৩০টি। কোনো কোনো আসনের প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন। বাকি আপিলগুলো হয়েছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে।
এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। যাচাই-বাছাইয়ে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
আজ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।