পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসনতান্ত্রিক মর্যাদা দাবিসহ ১৭টি প্রস্তাব দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। আজ মঙ্গলবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেয়। সেখানে এসব প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটি।
ইউপিডিএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামকেন্দ্রিক সংগঠনটি।
ইউপিডিএফ ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক মাইকেল চাকমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে স্মারকলিপি দেয়। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯৭২ সালের সংবিধান পাস হওয়ার আগপর্যন্ত বিভিন্ন সময় ‘শিডিউলড ডিস্ট্রিক্ট’, ‘ব্যাকওয়ার্ড ট্র্যাক্ট’, ‘এক্সক্লুডেড এরিয়া’ ও ‘ট্রাইবাল এরিয়া’ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর দেশের নতুন সংবিধানে অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ শাসনতান্ত্রিক মর্যাদার দাবি জানানো হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। এর ফলে এ অঞ্চলের জনগণের অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এবং পরে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্ম হয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, নতুন করে সংবিধান সংস্কার বা পুনর্লিখন হলে তাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম তার বিশেষ শাসনতান্ত্রিক মর্যাদা ফিরে পাবে এবং এ অঞ্চলের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।