জাতি আবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে—এ মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি, যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আবার ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নানামুখী চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
৭ নভেম্বর জাতীয় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে আমির শফিকুর রহমান আজ বুধবার এ বিবৃতি দায়েছেন।
বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী বারবার দেশকে বিদেশি আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছে। ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।’
ফ্যাসিবাদীরা পুনরায় ফিরে এলে জাতি এক মহাসংকটে নিপতিত হবে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দলমত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সব মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহী ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল।
জামায়াতের আমির ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য দলের সব শাখা ও ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।