দেশে ফিরেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আজ শুক্রবার দেশে ফেরেন তিনি।
আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ার লাইনসের একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান মাহমুদুর রহমান।
বিমানবন্দরে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা মাহমুদুর রহমানকে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের বাইরে সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা সমবেত হয়ে মাহমুদুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
বিমানবন্দরের বাইরে সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের যে তরুণ কিউবার বিপ্লবের নায়ক চে গুয়েভারাকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত, সেই বাংলাদেশের তরুণ এখন আবু সাঈদকে তাদের আদর্শ হিসেবে জানে।’
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দল বিএনপি বলেন, জামায়াত বলেন, অন্যান্য দল বলেন, তারা তাদের মতো করে লড়াই করেছে। আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে আমার দেশ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। আমার লড়াই ছিল বুদ্ধিবৃত্তির লড়াই, আমার লড়াই ছিল কালচারের লড়াই।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টির বেশি মামলা হয়। একটি মামলায় মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় তাঁকে কারা নির্যাতনও ভোগ করতে হয়।
প্রথম দফায় ২০১০ সালের জুন মাসে ও দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তাঁর সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় গ্রেপ্তারের পর তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।