সাম্প্রতিক নাশকতার প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে, তবে প্রকৃত শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের কোনো হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দুর্জয় শপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএস ও ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দিয়েছে, মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে, বিটিভিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতার পর অনেকের বিচার হয়েছে। কেউ কেউ আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে গেছেন। এবার সেটি হবে না। প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
‘রাষ্ট্রের ওপর হামলা বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারেক রহমানের ভয়েস (বক্তব্য) সরকারের হাতে এসেছে। তিনি বলছেন, ‘বড় হামলা করলে বড় পদ, কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো।’ বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, ‘তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো।’ ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের স্বীকারোক্তি তাঁরাই দিয়েছেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করে তারা দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী। সময় এসেছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম। সভা পরিচালনা করেন স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন। সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ফরিদা ইয়াসমিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকও সভায় বক্তৃতা দেন।