সারা দেশে হত্যা, গুপ্তহত্যা, শ্রমিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এবং নাগরিক নিরাপত্তা নস্যাতের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে ছাত্র ইউনিয়ন। ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর
সারা দেশে হত্যা, গুপ্তহত্যা, শ্রমিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এবং নাগরিক নিরাপত্তা নস্যাতের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে ছাত্র ইউনিয়ন। ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর

ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ

মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বৈষম্যহীন দেশের স্বপ্ন পূরণ হবে না

সারা দেশে হত্যা, গুপ্তহত্যা, শ্রমিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এবং নাগরিক নিরাপত্তা নস্যাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা, কেন্দ্রীয় মসজিদ হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ছাত্র, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, ভাত-কাপড়ের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। গণ-অভ্যুত্থানের নেতারা যদি মনে করেন শুধু চাকরির বৈষম্যই একমাত্র বৈষম্য, তাহলে ভুল ভাবছেন। জনগণের অনৈতিক সাম্য নিশ্চিত করাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগরের কোষাধ্যক্ষ আর্দিতা রায় বলেন, ‘আমাদের রক্তের ওপর গণ-অভ্যুত্থানের এই সরকার প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সরকার যেভাবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তাতে আমরা এই সরকারকে ছেড়ে কথা বলব না।’

সারা দেশে শিক্ষার্থীরা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ছাঁটাই করে তাঁদের ওপর দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে; কিন্তু তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এই সরকার যদি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণ যেভাবে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবে জবাব দেবে।

ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক কে এম আবদুল্লাহ আল নিশাত বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে “হিমু উপদেষ্টা” হয়ে আছেন। উনি শুধু দেখছেন, ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। জনগণের জানমাল, শ্রমিকের কর্মসংস্থান দিতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।’