নির্বাচনব্যবস্থায় ‘না’ ভোট রাখাসহ তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নাগরিক সমাজের এক সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন এই প্রস্তাব দেন। সভায় নিজের প্রস্তাব তুলে ধরে চলে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ–সংক্রান্ত তথ্য জানান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে যেন ‘না’ ভোট দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে কারও প্রতি অন্যায় হলে তিনি মামলা করেন। সেই মামলা নিষ্পত্তি হতে হতে টার্ম (মেয়াদ) চলে যায়। তখন বাদী বিচার পান না। তিনি প্রস্তাব দেন, নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটা বিচারের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে, যাতে কমিশনই দ্রুততার সঙ্গে বিচার করতে পারে। যাতে বাদী বঞ্চিত না হন, তিনি তাঁর অধিকার ফিরে পেতে পারেন।
আরেকটি প্রস্তাব সম্পর্কে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বিগত সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) নানা কিছু কিনে অনেক টাকা তছরুপ করেছে। যার কারণে সাধারণ মানুষের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা থাকে না। স্বচ্ছতা কীভাবে নির্বাচন কমিশনের মধ্যে আনা যেতে পারে, সেটার ব্যবস্থা করত হবে। তা নাহলে জনগণের আস্থা ফেরত আসবে না। নাহলে জনগণ মনে করবে, এরাও আগের মতোই।
সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান তাঁর মতামত দিয়েছেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সভায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তার বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। সভায় আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মত এসেছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটা মিশ্র পদ্ধতিতে আসা উচিত। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করা, স্বচ্ছভাবে দলীয় অর্থায়ন করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব অংশীজনের সক্রিয় সংশ্লিষ্টতা থাকার কথাও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, সভায় নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং ‘না’ ভোটের প্রসঙ্গও এসেছে।
সভায় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য মো. আবদুল আলীম, জেসমিন টুলী প্রমুখ উপস্থিত আছেন।