আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা, নারীনেত্রী আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংলাপে আমরা ৩০০ আসনেই ইভিএম চেয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন অর্ধেক আসনে সম্মত হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বলেছি, আধুনিক যে টেকনোলজি, এটা ব্যবহার করা সংগত। কারচুপির ও জালিয়াতির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। তারপর কিছু কিছু করে ইভিএম চালু করা হয়েছিল। এবারও আমরা ৩০০ আসনে চেয়েছিলাম।’
ইভিএমে কোনো ঝামেলা নেই বলে দাবি করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা ইভিএমকে ভয় পায়, আমি জানি না, তারা জনগণের ভোট নিরপেক্ষ হোক, কারচুপিমুক্ত হোক—এটা চায় কি না।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৪ আগস্ট। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হন। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানের স্মৃতিচারণ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আইভি রহমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। যখন বড় কোনো জনসভা হতো, তাকে মঞ্চে বসানো যেত না। তিনি নিজে নিজেই মাঠে কর্মীদের সঙ্গে বসে থাকতেন। এ হলো তার একটা বৈশিষ্ট্য।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আইভি রহমান দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। কখনো নেতা বা অহংকারে বুঁদ হয়ে যাননি। আজকে তাঁর মৃত্যুর দিনে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’