এ বি পার্টি ল’ইয়ার্স বলেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান আছে নাকি নেই, তা স্পষ্ট নয়। এ অস্পষ্টতা দূর করে সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী সাংবিধানিক সংকট ও কাঠামো’ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব ও এবি পার্টি ল’ইয়ার্সের যুগ্ম সদস্যসচিব সানী আবদুল হক। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংবিধান সম্পর্কে কোনো বক্তব্য ছিল না। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সংবিধান সচল না রহিত তা স্পষ্ট নয়। সরকারকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। অসংগতি এখনই দূর করা না হলে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হতে পারে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি চান তিনি।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ’৭২–এর সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে উল্লেখ ছিল, এই রাষ্ট্র হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে; কিন্তু এমন একটা সংবিধান হয়েছে, যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। সংবিধান অক্ষুণ্ন রাখার দোহাই যেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারকে ভবিষ্যতে ব্যর্থ করে না দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, এবি পার্টি ল’ইয়ার্সের যুগ্ম সদস্য সচিব ও দপ্তর সম্পাদক আলী নাসের খান প্রমুখ।