কারাগারে অন্তরিণ প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বাসায় গিয়ে তাঁর মাকে সান্ত্বনা দিয়েছে বিএনপির মিডিয়া সেলের একটি প্রতিনিধিদল। আজ সোমবার বেলা ১১টায় ধামরাইয়ে শামসুজ্জামানের নানার বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা। এ সময় শামসুজ্জামানের মা করিমন নেসা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম প্রমুখ।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শামসুজ্জামানের মাকে সান্ত্বনা জানিয়ে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে। গণবিরোধী এ আইন বাতিল করা আজ সময়ের দাবি।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আজ দেশে কেউ নিরাপদ নয়। গোটা দেশ যেন কারাগারে পরিণত হয়েছে। সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির কথা বললেই হামলা হয়, গুম হয়। আল্লাহর অশেষ রহমত যে সাংবাদিক শামস গুমের শিকার হননি।
এ সময় সাংবাদিক শামসের মা বলেন, ‘আমার সন্তান কখনো অপসাংবাদিকতা করেনি। আমি জানি না কোন অপরাধে আমার ছেলেকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হলো? তোমরা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দাও।’
শামসুজ্জামানের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদরের কাটিগ্রামে। সেখানেই তাঁর মা করিমন নেসা থাকেন। অন্যদিকে শামসুজ্জামান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শামসুজ্জামানকে গভীর রাতে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাঁকে ধামরাইয়ে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এখন সেখানেই থাকছেন তিনি।