পুলিশের অনুমতি ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী আগামীকাল সোমবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে দলটি। জামায়াত গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, তারা অনুমতি ছাড়াই বিক্ষোভের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে জামায়াতকে সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ আজ রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। তাতে অনুমতি না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, জানমালের নিরাপত্তা ও অফিস–আদালত খোলা থাকায় ৫ জুন জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের নিষেধ অমান্য করে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়ে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
তবে জামায়াতে ইসলামী তাদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি বহাল রেখে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়ার কথাই জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর জামায়াত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামীকালের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াতের মহানগর শাখার দক্ষিণের উদ্যোগে আজ দলটির সমর্থক পেশাজীবী সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে সভা হয়েছে। দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিক্ষোভের অনুমতি চাইতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গিয়ে আটক হয়েছিল। যদিও কিছু সময় পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জামায়াতের আমিরের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত।
আগের দিন শনিবার জামায়াত নেতাদের আরেক সভায় দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাবেশের অনুমতিপত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। ৫ জুনের সমাবেশের অনুমতি জনগণ দিয়েছে। তাই আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না।’
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য নিবন্ধন জরুরি নয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল করার জন্য নিবন্ধন কিংবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। তিনটি মৌলিক দাবিতে ৫ জুন রাজধানীতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই সমাবেশ বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ তিনি বলেন, এই সমাবেশে বাধা দেওয়া মানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়া, গণতন্ত্রের পথে বাধা দেওয়া।