বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে—এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান। তিনি বলেন, যাদের জনসমর্থন নেই, তারা নির্বাচনে আসবে না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে নিবন্ধিত দলগুলোকে জানাতে এ আলোচনার আয়োজন করে ইসি। সকালে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২২টি নিবন্ধিত দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে আটটি দল ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি। আজ বিকেলে আলোচনায় বসার জন্য বিএনপিসহ আরও ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বিএনপির কোনো নেতাকে না পেয়ে নিমন্ত্রণের চিঠি দলটির কার্যালয়ে ঝুলিয়ে এসেছে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, সকালে অংশ নেওয়ার জন্য ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সিপিবি, বিজেপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে ওলামা ইসলাম বাংলাদেশ, কল্যাণ পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও এলডিপি আলোচনায় অংশ নেয়নি।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বিএনপি যে কর্মসূচি দিচ্ছে, সেটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়; এগুলো সহিংসতার কর্মসূচি। এগুলোকে ‘টেররিস্ট অ্যাকশন’ বলা যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের চিঠি নেওয়ার মতো বিএনপির কার্যালয়ে কেউ নেই—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফারুক খান বলেন, এটি বিএনপির জন্য লজ্জাজনক।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, তাঁরা মনে করেন, সংবিধানসম্মতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। ভবিষ্যতে আরও সুষ্ঠু হবে যখন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নির্বাচন কমিশন উৎসাহ প্রদান করবে।
ইসির সঙ্গে আলোচনা শেষে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য জনগণ অস্থায়ী আনতে পারে এবং আগ্রহী হয়—এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন। তাঁরা চান যেন জনগণের নিরাপত্তা ভোটারদের নিরাপত্তা থাকে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য সমান সুযোগ থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন তাঁদের আশ্বাস দিয়েছে।