বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য শিগগির বিদেশে যাবেন: মির্জা ফখরুল

খুব শিগগির বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের জন্মদিনে একটা সুসংবাদ দিতে চাই, আল্লাহ যদি রহম করেন, ম্যাডামকে অতি শিগগির আমরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

খালেদা জিয়া যাতে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে দেশবাসীর কাছে ফিরে আসতে পারেন, এ জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন বিএনপির মহাসচিব।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন। ৮ জুলাই থেকে তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় খালেদা জিয়াকে। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালে করোনা মহামারি দেখা দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতায় খালেদার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। ওই বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস পর বিএনপি নেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছিল শেখ হাসিনার সরকার। প্রতিবারই তাঁকে দুটি শর্ত দেওয়া হচ্ছিল। তাঁকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন-নিবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার সরকার।