বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়ার পাশাপাশি তাঁর মুক্তির জন্য ‘দাওয়াই’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতা মির্জা আব্বাস। এতে যুবদলের অগ্রণী ভূমিকা প্রত্যাশা করে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন, ততবারই যুবদলের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। এখনকার যুবদলের একটা বিশাল পরীক্ষা হবে, তারা তা কত দূর নিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া মাহফিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও শয্যাশায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
যুবদলের একসময়ের সভাপতি মির্জা আব্বাস বলেন, ‘খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন, ততবারই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুবদলের ভালো ভূমিকা ছিল। ওই সময় আমি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লা বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল—সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সফলতা ছিল এটুকু, সব সময় একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সঙ্গে মূল দল বিএনপিসহ অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো ছিল। একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। আমরা আন্দোলন করে একে একে তিনবার বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলাম।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘এখন আমাদের প্রত্যাশা হলো, এখনকার যুবদলের একটা বিশাল পরীক্ষা হবে যে তারা এই দলকে ক্ষমতায় কত দূর নিয়ে যেতে পারবে। এই দেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য। সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সম্প্রতি বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের কমিটি ভাঙাগড়ার দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন নতুন নতুন কমিটি হচ্ছে। নতুন কমিটিগুলোর এটাই হলো কাজ। এই কমিটি এই দলকে নতুন জীবন দান করবে, এই আশা করেই কমিটি করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য আমরা কয়দিন পরপর দোয়া করছি। হ্যাঁ, দোয়া একটি ভালো বিষয়। ধর্মীয় অংশ হিসেবে আমরা দোয়া করব। তবে দোয়ার সঙ্গে দাওয়াইও লাগবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে দাওয়াইও লাগবে। কারণ, রাজনৈতিক দাওয়াইবিহীন খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না।’
যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামে সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ও আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ, মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম, সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।