খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াতের প্রতিনিধিদল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি প্রথম আলো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি সেখানে যায়। তবে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখার সুযোগ পাননি। উপস্থিত চিকিৎসকদের কাছে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলটি এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়। তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখতে তাঁর কেবিনের অভ্যর্থনা কক্ষে গেলে সেখানে উপস্থিত বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন স্বাগত জানান। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জামায়াতের প্রতিনিধিদলকে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে তাঁর সংক্রমণ ঝুঁকির কথা জানান। এ অবস্থায় জামায়াতের নেতারা স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের কাছে তাঁর স্বাস্থ্যের সর্বশেষ খোঁজখবর নেন। প্রতিনিধিদল খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা দোয়া করে।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আবদুর রহমান মূসা, সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দীন মানিক ও প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার।

সেখান থেকে বের হয়ে হাসপাতালের প্রবেশমুখে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। আমরা মনে করি, তাঁর সঠিক চিকিৎসা করানো রাষ্ট্রের কর্তব্য, আর তা তাঁর সাংবিধানিক, মৌলিক ও নাগরিক অধিকার। কিন্তু সরকার তাঁকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার জন্য নানা রকম বাহানা করছে, যা দেশবাসী কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, জামায়াতের নেতারা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তৎপর হন। কিছু পুলিশ সদস্য হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। পুলিশের কয়েকজন সদস্য খালেদা জিয়ার কেবিন এলাকায় যান। এর আগেই জামায়াতের নেতারা হাসপাতালের অন্য একটি লিফটে নিচে নেমে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।