‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে
‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে

‘রাতের ভোটে’ সহায়তা করায় দুর্নীতির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে

সরকারি কর্মকর্তারা ‘রাতের ভোটে’ সহায়তা করায় বর্তমান সরকার তাদের দুর্নীতি করার অবাধ সুযোগ (ফ্রি লাইসেন্স) দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা মনে করেন, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ এখন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার এক আলোচনা ও মতবিনিময়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করে বলেন, দেশে দুর্নীতির চিত্র এখন সর্বগ্রাসী। ব্যাংক, শেয়ারবাজার, জমি—আওয়ামী লীগ যেখানে যা পাচ্ছে, সব খাচ্ছে। দেশে নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া চলছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা বাংলাদেশ এখন চীন-ভারত দ্বৈত রথে পড়েছে। এই সংকট সরকার কাটাতে পারবে না, এখান থেকে বের হওয়ার সরকারের সামনে পথ খোলা নেই।

দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ এখন একাকার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, সরকার টিকিয়ে রাখায় কর্মকর্তাদের যা খুশি তা করার ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

যারা সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস সরকারের নেই বলে মনে করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী। সরকারের মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, প্রবাদ আছে চোরের মায়ের বড় গলা। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ এটিকে বাস্তবে পরিণত করেছে। সরকার এমন আইন করেছে, সুবিধা দিয়েছে, যাতে লুট করে খাওয়া যায়। সরকারের দায়বদ্ধতা জনগণের প্রতি নয়, যারা দিনের ভোট রাতে আয়োজন করেছে তাদের প্রতি।

সভাপতির বক্তৃতায় গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দুর্নীতি এখন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা ব্যাপকভাবে লুট করছেন। দুর্নীতির কাঠামো তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সামগ্রিক দুর্নীতির কাঠামোকে আড়াল করতে ও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে আজিজ (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ), বেনজীরের (সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ) মতো কিছু ঘটনা সামনে আনা হচ্ছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম ও জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব। গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইনের সঞ্চালনায় সভায় প্রাথমিক বক্তব্য তুলে ধরেন গণসংহতি আনেদালনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান।