একতরফা নির্বাচন করতে আগেই সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের কারাবন্দী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নিজেদের মধ্যেই ‘খেলা’ আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ‘আমরা আর মামুদের’ এই খেলাতেও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস ঠেকাতে পারছে না। নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে, হত্যা করছে।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আজ রোববার দুপুরে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব অভিযোগ করেন। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর ও কাকরাইল এলাকায় মিছিল করেন মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। মিছিলের সময় ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে পথচারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করা হয়।
আগামী মঙ্গল ও বুধবার ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারপত্র বিতরণ, গণসংযোগ ও সমাবেশ কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
ইতিমধ্যে দেশের ৪৮টি স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন মারা গেছেন উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোট আসতে আর কত রক্তক্ষয় হবে, তা বলা মুশকিল। তাহলে বিরোধী দল মাঠে থাকলে কী পরিস্থিতি হতো, তা সহজেই অনুমেয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ।
এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেএসডির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, পাতানো নির্বাচন দেশের জন্য বিপজ্জনক ভবিষ্যৎ ডেকে আনছে। তারপরও সরকার পাতানো নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের উদ্দেশে তাঁরা বলেন, এখনো সময় আছে অবিলম্বে এই একতরফা নির্বাচনপ্রক্রিয়া বন্ধ করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিন।