সরকার প্রতিটি গ্রামে, ইউনিয়নে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ দিন আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এমন অভিযোগ করেন।
সমাবেশের আগে রাজধানীর বিজয়নগর, পুরানা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজপথে আমরা লড়াইয়ের মধ্যে আছি। আজকে সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে পুরো দেশটাকে; প্রতিটি গ্রামে আপনারা (সরকার) সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছেন, ইউনিয়নে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বাস্তবে তারা সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দেশকে প্রকারান্তরে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই পথে গেলে তার দায়দায়িত্ব সরকারি দলকে বহন করতে হবে।’
এখনো আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের সময় আছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলের ১৫ হাজারের বেশি নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাখ লাখ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার আতঙ্ক নিয়ে আন্দোলনে ভূমিকা রাখছেন। সরকারের দমনপীড়ন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা করে দেশব্যাপী মানুষ অবরোধ ও হরতাল সফল করেছে। অবরোধ ও হরতালের মধ্য দিয়ে এই সরকারের প্রতি মানুষ অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। পুরো দেশকে অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কথা বলার সুযোগ নাই, রাতে ঘুমানোর সুযোগ নাই। পথে-ঘাটে যেখান সেখান থেকে সাদা কাপড়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অপরাধ তাঁরা ভোট দিতে চায়।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে আছি। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে। আজ বিকেলে পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।’
নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ প্রমুখ।