কে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি, এ নিয়ে বিরোধী দল বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। এ কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) কাকে রাষ্ট্রপতি বানাচ্ছে, তাতে বিএনপির আগ্রহ দেখানোর কিছু নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার পর এক প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা এবং বর্তমান সংসদের বৈধতা নিয়েই বিএনপির প্রশ্ন রয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ কাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছে অথবা কে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি—এ নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই।’
এর আগে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি এবং সংসদীয় দলের প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করেছে এবং এখন জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। সে কারণে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কোনো কর্মকাণ্ডের প্রতি বিএনপির আস্থা নেই।’
বর্তমান সংসদে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য ছিলেন। সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এখন সংসদে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে যেসব দলের, তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল প্রার্থী দিচ্ছে না। ফলে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনই রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, তা এখনই নিশ্চিত বলা যায়।
তবে নির্বাচন প্রয়োজন হবে কি না, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। আজই বিকেল চারটায় রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হবে।