ঢাকা-১২ আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়। কেন্দ্রগুলোতে এক-দুজন করে ভোটার প্রবেশ করছেন। তবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকা-১২ আসনের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আজ রোববার সকাল আটটায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল সোয়া আটটার দিকে তেজগাঁও কলেজের সামনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অনেক নেতা-কর্মীকে দেখা যায়। ভেতরে ৯১ নম্বর কেন্দ্রে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে এক নারী ভোটার প্রবেশ করেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল হাসান জানান, আরও কিছু সময় গেলে কত ভোট পড়েছে, তা বলতে পারবেন।
ঢাকা-১২ আসনের আরেক কেন্দ্র নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রেও ভোটারের কোনো সারি দেখা যায়নি। দু-একজন করে ভোটার আসছেন কেন্দ্রে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মীরা কাউকে দেখলেই ভোটার কি না, জিজ্ঞেস করছেন। কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের ব্যাচধারী লোকজনের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।
রাজধানী উচ্চবিদ্যালয়ে চারটি কেন্দ্র পড়েছে। সেখানেও একই চিত্র। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। এখানকার একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাসুদ বলেন, বেলা বাড়লে ভোটার উপস্থিতি বোঝা যাবে।
রাজধানী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশেই ঢাকা-১০ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়। সেখানে নাসিমা আক্তার তল্লাবাগ থেকে ভোট দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এত কম লোক কেন? আমি তো ভাবছি অনেক লাইন হবে। তাই সকাল সকাল চলে আসছি।’
ভোটকেন্দ্রগুলোতে আনসার ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি অনেকটাই বেশি। কেন্দ্রে প্রবেশেও অনেক কড়াকড়ি। তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে এক পুলিশ সদস্য এই প্রতিবেদককে কেন্দ্র দেখার জন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন এবং একজন আনসার সদস্যকে সঙ্গে দিয়ে দেন।
এ ছাড়া নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আনসার সদস্যরা ব্যাগও তল্লাশি করে দেখেন।