‘বিচার বিভাগের সংস্কার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫টি প্রস্তাব তুলে ধরেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান
‘বিচার বিভাগের সংস্কার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫টি প্রস্তাব তুলে ধরেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান

বিচার বিভাগ সংস্কারে এবি পার্টির ১৫ প্রস্তাব

বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য ১৫টি প্রস্তাব দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটি বলছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো বিচার বিভাগ। দেশ ও জাতির স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, পেশাদারত্ব ও মর্যাদা রক্ষা জরুরি।

আজ মঙ্গলবার ‘বিচার বিভাগের সংস্কার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫টি প্রস্তাব তুলে ধরেন পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান। রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মেলনটি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও নাক গলানো থেকে বিচার বিভাগকে রক্ষা করার আহ্বান জানান।

এবি পার্টির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের অধীন আইন ও বিচারবিষয়ক প্রশাসনিক সচিবালয় গঠন করতে হবে। যার নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতির পুরো এখতিয়ার নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হবে; অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, পাবলিক প্রসিকিউশনের অফিস, উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগসহ সব প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে; ফৌজদারি অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে তদন্ত ছাড়া পুলিশের কোনো ভূমিকা থাকতে পারবে না; বিচারিক যোগ্যতা, মেধা, অভিজ্ঞতা, বিবেকবোধ, সততা ও নিষ্ঠা হতে হবে বিচারক ও বিচারপতি হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো নিয়োগ হতে পারবে না; আইন পেশায় ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারক হতে পারবেন না; মামলা জট কমাতে জনসংখ্যার অনুপাতে বিচারকদের সংখ্যা ও বিচারপ্রার্থীদের সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে; যাঁরা আইন পেশায় আসতে চান, তাঁদের জন্য বার কাউন্সিলের অধীন এক বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হবেন, আর কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন না। এ ছাড়া প্রতিটি বিভাগ ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠন করারও দাবি জানিয়েছে এবি পার্টি।