রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সেই সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আজ মঙ্গলবার দলটির পক্ষ থেকে কয়েকজন নেতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে বিএনপি নেতারা বিষয়টি জানান।
সকাল ১০টায় মিন্টো রোডের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান বিএনপির নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্যসচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ আরও কয়েকজন।
সেখান থেকে বের হওয়ার পর আমানউল্লাহ বলেন, ‘ছয়টি বিভাগীয় শহরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশের জন্য আমরা অনুমতি চেয়েছি। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা আলাপ-আলোচনা করে সেটা বলবেন, আমাদের জানাবেন।’
কোথায় অনুমতি চেয়েছেন, এ প্রশ্নের জবাবে আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের দপ্তর থেকে চিঠি দিয়েছি। আমরা পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চেয়েছি। এখানে আমরা আগেও সমাবেশ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশটি হবে শান্তিপূর্ণ। নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন বলে আমরা চিঠিতে বলেছি।’
আগের সমাবেশগুলোর অবস্থা তুলে ধরে আমানউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, চট্টগ্রামে সমস্ত বাসসহ সব পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরে আরও পাঁচটি বিভাগীয় সমাবেশেও একই কাজ করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের পরিবহন বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়টি তাঁদের দেখতে অনুরোধ করেছি। আমাদের সমাবেশে যারা আসবে, তারা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো ধরনের আক্রমণ না করা হয়।’
আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কমিশনার সাহেবকে বলেছি, আপনি আওয়ামী লীগের কমিশনার নন, বিএনপির কমিশনার নন, আপনি সরকারের কমিশনার। আপনি সরকারি কর্মকর্তা। এদিকে লক্ষ রেখে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
আজ ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় বলে জানান আমানউল্লাহ।
এ সময় সাংবাদিকদের সামনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। তাঁরা বলেছেন, আর কোনো বিকল্প প্রস্তাব আছে কি না। আমরা বলেছি, আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাব। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই আমরা পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছি। সরকারি দল যেভাবে ফ্যাসিবাদের দিকে যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করছে। তাই আমরা যদি আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করি, তবে সরকারি দল তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না।’