নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাসিনো, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধীদের ছাড়া হচ্ছে

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে
ছবি: সাজিদ হোসেন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকার ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার গুন্ডা, মাস্তানদের দিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমন–পীড়ন করে রাখতে চায়।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব অভিযোগ করেন সাত দলীয় এ জোট নেতারা। ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কর, জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার কর ও দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন, জুয়া খেলা চালু করেছেন, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোর্টকাছারি কোথায়? তাঁরা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিচ্ছেন।’

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হকও তাঁর বক্তব্যে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের শেখ হাসিনা নির্বাচন উপলক্ষে ছেড়ে দিচ্ছে। যাতে ঢাকায় তাঁরা গুন্ডামি, মাস্তানি করেন। জনগণের ওপর দমন–পীড়ন চালিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমন–পীড়ন করে রাখতে চায়। গত ১০ বছরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই সরকার কোনো অভিযান চালায়নি। কারণ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাঁরা দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করেছে।’

সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অনেক দেনদরবার করার পর পুলিশের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে জাতিসংঘ আমন্ত্রণ জানিয়েছে, ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এই কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এর চাইতে লজ্জার কিছু থাকতে পারে? পুলিশকে আজ সারা পৃথিবীর বুকে নিন্দার পাত্র বানানো হয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নানা জায়গা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশে এ সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ নানাভাবে হামলা করছে এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীও হামলা চালাচ্ছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এ সরকার ডলারসংকটে আমদানির বিল দিতে পারছে না। দুর্নীতির কারণে হচ্ছে। জ্বালানি তেলে লাভ করেছেন, কর, ভ্যাট নিয়েছেন, সমন্বয় করেন। তাহলে এই দাম বাড়ানোর দরকার নেই। মানুষের ভয়াবহ নাভিশ্বাস অবস্থা। মানুষের পেটে লাথি মারবেন না।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ূমবক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।