নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা সোয়া চারটার দিকে পুলিশের একটি দল সেখানে ঢুকে পড়ে। এরপর বেলা সাড়ে চারটার দিকে সেখানে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ সময় ভেতরে ঢুকতে গেলেও পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। পরে প্রায় ২০ মিনিট পর তাঁকে কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে তিনি কার্যালয়ে না ঢুকে সামনেই বসে পড়েছেন। বিকেল পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফখরুল কার্যালয়ের সামনেই বসেছিলেন। এদিকে বেলা সোয়া চারটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আজ বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে
বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান শুরু হলে বেলা সাড়ে চারটার দিকে মির্জা ফখরুল সেখানে আসেন। এ সময় কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মির্জা ফখরুলকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। মির্জা ফখরুল এ সময় বলেন, আমার দলের কার্যালয়ে কেন আমি ঢুকতে পারব না। সবার দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
এ সময় পুলিশের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে আমরা ঢুকতে দিতে পারি না কারণ ভেতরে বিস্ফোরক আছে। আপনার নিরাপত্তার স্বার্থেই সেখানে ঢুকতে দিতে পারি না। ’
তবে একটু পর পুলিশ মির্জা ফখরুলকে ঢুকতে দিতে চাইলেও তিনি সেখানে না ঢুকে কার্যালয়ের সামনে বসে পড়েন।
এদিকে বেলা সাড়ে চারটার দিকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ।
নয়াপল্টনে নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ হবে—এ নিয়ে বিতর্ক নিরসনে সমঝোতার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান এবং বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ধরে নেওয়ার সময় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি যেতে বলেছিলেন। এ জন্য কার্যালয় থেকে বের হয়েছিলাম। কার্যালয় নিচ থেকে ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে। এখন কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি জানি না।’
এরপর পুলিশ কার্যালয়ের সামনে থেকে শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে।