আওয়ামী লীগের পুরোনো ষড়যন্ত্র ধরা পড়েছে: খন্দকার মোশাররফ

স্মরণসভায় বক্তব্য দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে
ছবি: সংগৃহীত  

বর্তমান সরকার ‘পুরোনো খেলা, পুরোনো ষড়যন্ত্র’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পুরোনো ষড়যন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে ধরা পড়েছে।’

মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সরকার (ষড়যন্ত্রের) চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণের কাছে যেহেতু ধরা পড়ে গেছে, আর কোনো ষড়যন্ত্র করার কিছু নাই। চেষ্টা করতে পারে। এই ষড়যন্ত্র কোনো কাজে আসবে না। অনতিবিলম্বে তাদের ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন সম্মানিত মানুষ। যাঁরা দেশের জন্য আজীবন কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে তিনি একজন। এক-এগারোয় বিএনপিকে রক্ষা করেছেন খোন্দকার দেলোয়ার।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হিসেবে নেতা–কর্মী কারাগারে। বানোয়াট মামলা হচ্ছে। বনানীতে সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বিএনপির ৫৪ নেতা–কর্মীকে আটক করেছে। কী পরিমাণ স্বৈরাচারী আচরণ থাকলে এ রকম করতে পারে।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান কী। হত্যা, মামলা, নিপীড়ন, গুম, চাঁদাবাজি—এগুলোর কারণে মানুষ শান্তি থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। অশান্তিতে রয়েছে। ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখী দিবস পালন হয়েছে। সেই দিন ওয়ান হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ১৩৭ দেশের তালিকায় ১১৮তম জায়গায় আছে। যখন শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনবেন, অর্থনীতি ভালো, দেশের মানুষ ভালো, সুখে আছে।’

সভায় গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘এখন যে ধরনের লোকজনকে আমরা টেলিভিশন টক শোতে দেখি, যাঁরা মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন করছেন, মানুষ তাঁদের কথায় কথায় গালি দেয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, আপনারা তা জানেন। একটা মিথ্যা ভোটের জন্য তাঁরা এখন সংসদে বসে আছেন।’

সংসদে আওয়ামী লীগের যে আইনপ্রণেতারা আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘তাঁরা একটা ফ্রড। তাঁরা জনগণের সঙ্গে ফ্রড করে ঘোরাফেরা করছেন।’