গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এই মামলার আবেদন করেছেন।
এই আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ থানায় আল মামুন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক বিদেশে গিয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নুরুল হক বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকার উৎখাতের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, নুরুল হক গণ অধিকার পরিষদ নেতা-কর্মীদের উসকে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন। বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে নুরুল হক রাষ্ট্রদ্রোহমূলক অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২৪(ক), ১২০ (থ) ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা আবশ্যক। তবে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নুরুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানাতে পারব।’
নুরুল হক ইসরায়েলি নাগরিকের সঙ্গে সভা করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, আমার বৈঠক হয়নি। হোটেলে অনেক ভিড় ছিল, অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে। আমি তো সাফাদিকে চিনতাম না। যে ছবিটির কথা বলা হচ্ছে কখন তুলেছে, সেটা আমার বোঝার কথা না।’
বেশ কিছুদিন ধরে গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হককে ঘিরে দলটিতে অস্থিরতা চলছে। সম্প্রতি সেই অস্থিরতা প্রকট রূপ নিয়েছিল। দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতি, আহ্বায়ককে অপসারণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ইসরায়েলের নাগরিকের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে নিজ দলেও চাপে আছেন নুরুল হক।