গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার শক্তি ও সামর্থ্য বিএনপির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাঁর দাবি, এ জন্য অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি।
বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তথাকথিত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েও বিএনপি তার চিরাচরিত নির্লজ্জ মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রেখেছে।’
সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্দয় আগুনের লেলিহান শিখায় পোড়াচ্ছে সারা দেশ। তারা মেতে উঠেছে নির্বিচার ভাঙচুর ও সহিংসতায়। অগ্নিসন্ত্রাস, সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা, মানুষ হত্যা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসাত্মকÄঅপরাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তথাকথিত সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অন্তরের¯জ্বালা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যর্থতার সেই আগুনে তারা বাংলার জনগণের আগামীর সম্ভাবনাকে পুড়িয়ে ছাই করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস থেকে জীবন্ত ও ঘুমন্ত মানুষ, নারী ও শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছে না। গণতন্ত্রের নামে বিএনপি লাশের রাজনীতি করছে। এ দেশের রাজনীতিতে মানুষ পুড়িয়ে মারার যে পৈশাচিকতার প্রচলন বিএনপি করেছে, তা সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিপন্থী। সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জনগণের নিরাপত্তা সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিএনপির নেতারা ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের নামে লাগাতার মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা দিচ্ছেন নেতারা। একই সঙ্গে বিএনপির নেতারা তাঁদের দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও গুমের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। বিএনপির সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর যারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সন্ত্রাস ও নাশকতা চালাচ্ছে, জনগণের জানমালের ওপর হামলা করছে, তারা নিজেরাই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনেÄথাকছে বলে দাবি করেন তিনি।
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি বরাবরের মতো গুমের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী বিবেচনায় নয়, কেবল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করছে। কোনো সন্ত্রাসী আত্মগোপনে থাকলে এর দায় সরকারের ওপর চাপানো যায় না। আওয়ামী লীগ কখনো গুম, খুন, অগ্নিসন্ত্রাস ও বিরোধী দল দমনের রাজনীতি করে না। গুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজনীতি হলো বিএনপির মজ্জাগত আদর্শ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের শক্তির একমাত্র উৎস জনগণ। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এবং সন্ত্রাস, নাশকতা, নৈরাজ্য ও গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।