সরকার ঘোষিত মধ্যম আয়ের দেশের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন।
ছবি: সংগৃহীত

সরকার ঘোষিত মধ্যম আয়ের দেশের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী। শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় সহিদুল্লাহ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় সহিদুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, যুব আন্দোলনের মাধ্যমেই শ্রেণি আয়বৈষম্যের জবাব দিতে হবে। আন্দোলন ছাড়া এখন আর কোনো বিকল্প নেই। যুব ইউনিয়নকে এ আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমেই কেবল বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সহিদুল্লাহ চৌধুরী যুব ইউনিয়নের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সংগঠনের সভাপতি যুবনেতা হাফিজ আদনানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গণনীতি বিশ্লেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, যুব ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বি এম শহীদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সরকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের আওয়াজ দিয়ে সরকার তার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে চাইছে। কর্মসংস্থানের অভাবে হাজারো যুবক জীবন বাজি রেখে সমুদ্রপথে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। সরকারি দলের পরিচয়, সুপারিশ ও নগদ টাকা ছাড়া এখনো চাকরি হয় না। দলীয়করণ ও লুটপাট মাত্রা ছাড়িয়েছে।

দেশে গণতন্ত্র ব্যক্তি এবং দলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দাবি করে বক্তারা আরও বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও বহুজাতিক কোম্পানির কাছে মুচলেকা দিয়ে অযৌক্তিকভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে চলছে সরকারি ছাত্র ও যুব সংগঠনের বেপরোয়া সন্ত্রাস। এভাবে চলতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।

যুব ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারা দেশ থেকে তিন হাজার নেতা–কর্মী এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন। অধিবেশনে দেশের ৬৯টি সাংগঠনিক জেলার চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন। কাউন্সিল অধিবেশনে আগামী দুই বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হবে।