উন্নয়ন হলে দেশে কেন গ্যাস–সংকট, বিদ্যুৎ–সংকট—সরকারের উদ্দেশে এই প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার অনলাইনে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন হলে কী কারণে একটি উন্নয়নশীল দেশকে পরনির্ভরশীল, আমদানিনির্ভর দেশে পরিণত করা হয়েছে?
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ধোঁকাবাজির নির্বাচন করতে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীকে তিন-চার মাস ধরে গ্রেপ্তার করেছে। শারীরিক নির্যাতনে নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ কারাগারে মারা গেছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। কারা হেফাজতে ও রিমান্ডে নিয়ে নেতা-কর্মীদের নির্যাতন সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আদালত থেকে জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না। জামিনের কাগজ নিয়ে কারাফটক থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের জীবন নিয়ে খেলছে পুলিশ ও প্রশাসন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা জামিন পেলেও জেলগেটে থাকা গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের টাকা না দিলে তাঁদের মুক্তি মিলছে না। এ কারণে কারাগারেই ধুকে ধুকে জীবন কাটছে তাঁদের।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন রিজভী। খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কারাবন্দী নেতাদের তালিকা তুলে ধরেন রিজভী। তিনি দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা ‘মিথ্যা-বানোয়াট’ মামলা প্রত্যাহার করে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
রিজভী বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে, ভোটের অধিকার আদায়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সক্রিয় আছে।
রিজভী আরও বলেন, দুই দিন আগে পত্রিকায় দেখেছেন, ‘ডামি সরকারের’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উগান্ডায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নাকি তাঁর দেশের সম্পর্ক গভীর থেকে আরও গভীর হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা আংশিক সত্য। সম্পর্ক গভীর হয়েছে, তবে তা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে। ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার হারিয়েছে।