আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি ছাত্রদল নেতার

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য একটি সংগঠন থেকে প্রতিনিধি নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সব ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি দেখা করতে পারবেন। একটা মাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি করতে পারে না।

নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অবশ্যই দেখা করতে পারেন কিন্তু কোনো প্রেস নোটের মাধ্যমে তা হবে না। আমরা ক্রিয়াশীল ছাত্রসমাজের ২৮টি সংগঠনকে আমন্ত্রণ দিয়েছিলাম সভার জন্য। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দাওয়াত দিইনি, কারণ তারা তাদের নিজেদের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন মনে করে না। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যাঁরা দেখা করেছেন, তা শিষ্টাচারবহির্ভূত।’

এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি সংগঠনকে দাওয়াত দিইনি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ছাত্রসংগঠনটি অতীতে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে রাজনীতি করেছে। খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা এবার প্রকাশ্যে এসে রাজনীতি করছে। তাই আমরা সব সংগঠনের সঙ্গে তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি এইচ এম আবু জাফর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা প্রমুখ।