দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে ১২–দলীয় জোট। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়সংলগ্ন মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
‘প্রহসনের নির্বাচন’ বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নতুন নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে জোটের নেতা–কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাব ও পুরানা পল্টন এলাকায় মৌনমিছিল করেন।
জনগণ ‘ভোট বর্জনের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে’ বলে সমাবেশে দাবি করেন ১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘গতকালের নির্বাচন (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাঁচ ভাগ লোকও ভোট দিতে যায় নাই। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংকট আরও গভীর হবে। একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার খায়েশ ধূলিসাৎ করে দিতে হবে।’
নির্বাচন কমিশন জাতির সামনে মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করেছে দাবি করে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এই নির্বাচন বাতিল করার জন্য আমরা গণ–আন্দোলন গড়ে তুলব। গণ–অভ্যুত্থানের সৃষ্টি করব।’ সরকার দেশকে উত্তর কোরিয়া বানানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই ‘নির্বাচন খেলায়’ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে বলে দাবি করেন ১২–দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান।