মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিনেও প্রচণ্ড ভিড় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেক কর্মী-সমর্থক পরেছেন একই রঙের টুপি (ক্যাপ) বা টি-শার্ট
ছবি: প্রথম আলো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আজ মঙ্গলবার শেষ দিনের মতো দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত তিন দিনের মতো আজও অনেক কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

এত বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতির কারণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউসহ আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। শেষ হবে বিকেল পাঁচটায়। এ সময়ের মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মনোনয়ন ফরম জমাও দিতে হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি। নেতা-কর্মীদের ভিড় ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে। জিরোপয়েন্ট এলাকা, বেলা পৌনে একটা

গত শনিবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করছে আওয়ামী লীগ। গত তিন দিনে ৩ হাজার ১৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এসব ফরম বিক্রি করে এরই মধ্যে ১৫ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আসছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেক কর্মী-সমর্থক পরেছেন একই রঙের টুপি (ক্যাপ) বা টি-শার্ট। পিকআপ ভ্যানে সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে ‘জিতবে এবার নৌকা’ গান বাজিয়েও কার্যালয়ে আসছেন কোনো কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেকেই বড় শোডাউন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন। কেউ আবার জমা দিচ্ছেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেট-৪ আসনের জন্য আগেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। আজ জমা দেন। পরে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের কাজ আরও অনেক বাকি আছে। সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন, সে স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করতে চাই।’

এদিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতির কারণে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহনকর্মীসহ সাধারণ যাত্রীরা। স্বল্প দূরত্বে যাবেন, এমন অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যানজটে ঘুমিয়ে পড়েছেন এক বাসচালক। জিরোপয়েন্ট এলাকা, বেলা পৌনে একটা

আজমিরি গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসের চালকের মুক্তাদির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন দিন ধরে গুলিস্তান এলাকা পার হতে গিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে।’