প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ১৯৭১ সালে তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং দলের লোকেরা তা দেশের সব জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যা ইপিআরের ওয়্যারলেস, টেলিগ্রাম-টেলিপ্রিন্টার এবং দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ ’৭৫–এ জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যার পর এই ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন এক মেজর একটি ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে বাঁশিতে ফুঁ দিল, আর অমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল! এভাবে একটি দেশ স্বাধীন হয় না। এখনো ইতিহাস বিকৃতির সেই ভাঙা রেকর্ড তারা (বিএনপি) বাজিয়েই যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি আগে আক্রমণকারী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হতে চাননি বিধায় অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ধাপে ধাপে সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ মার্চ অকস্মাৎ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ জনগণের ওপর আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআর (বর্তমান বিজিবি) এর ওয়্যারলেসযোগে দেশব্যাপী প্রচার করা হয়। সুবেদার মেজর শওকত আলীসহ চারজনের কাছে এই বার্তা আগেই পাঠিয়ে দেওয়া ছিল। ওয়্যারলেস ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশে যখন ইপিআর মেসেজ পাঠাচ্ছিল, তখন ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পাশাপাশি পিলখানা এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনও পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করে, গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু ওয়্যারলেস, টেলিগ্রাম-টেলিপ্রিন্টার ও পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে সারা দেশে এই বার্তা ছড়িয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বিভিন্নভাবে সারা দেশে এটি প্রচার করেন এবং সুবেদার শওকতসহ বার্তা প্রচারকারীরা ধরা পড়ে যান এবং নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। আর এই ইতিহাসকে ’৭৫–এর পরে বিকৃত করা হয়েছে। প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে একটি ভিন্ন ইতিহাস সামনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো ইতিহাস বিকৃতির সেই ভাঙা রেকর্ড তারা (বিএনপি) বাজিয়েই যাচ্ছে। তার কারণও আছে। আজ যিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা সব পালিয়ে যান, সেই মঈন খানের বাবা মমিন খান খাদ্যসচিব ছিলেন। যিনি খাদ্যসচিবের দায়িত্ব পালনকালে ’৭৪–এর কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে সফল হওয়ায় পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে তাঁর দ্বারা পুরস্কৃত হয়ে মন্ত্রীর মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হয়েছিলেন। অথচ ’৭৫–এর পর থেকে সারা বছরই বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে প্রবাসজীবন থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে জোর করে দেশে ফেরার পর তিনি বাংলাদেশের আনাচকানাচে ঘুরেছেন এবং বছরের পর বছর দুর্ভিক্ষ দেখতে পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৭০–এর নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্যরাই কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন। যার রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ সরকারের সদস্যরা মুজিবনগরে শপথ নেন এবং জাতির পিতা কারাগারে অন্তরীণ থাকায় তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন।
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য তৎকালীন সরকার বাংলাদেশকে বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ করে একেকজনকে একেকটি সেক্টরের দায়িত্ব দেয়। সেক্টরের যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি আহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান একটি সেক্টরের দায়িত্ব পান। জিয়াউর রহমান সেখানে তো একজন বেতনভুক কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন বেতনভুক কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। তা ছাড়া জিয়া একজন সামান্য মেজর ছিলেন। এখান থেকে মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি কিন্তু তাঁকে আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। আর স্বাধীনতার আগে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার হিসেবে কার্যাদেশ পেয়ে পূর্ববঙ্গে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন, তাঁর জন্ম ছিল কলকাতায়, এরপর পরিবার করাচিতে চলে যায় এবং তাঁর লেখাপড়া ও সেনাবাহিনীতে যোগদান সবকিছুই পাকিস্তানে ছিল। কাজেই তাঁর মনে ওই পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে, আর তার প্রমাণও আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন এখানে গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা ব্যারিকেড দিচ্ছিল জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে, তাঁদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। আর চট্টগ্রামে সেই সেনাবাহিনীর দায়িত্বে জিয়াউর রহমান ছিলেন এবং জিয়াউর রহমানও যাঁরা সেই সময় ব্যারিকেড দিয়েছেন, তাঁদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। শুধু তা–ই না, সোয়াত জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। সেখানে এই যে সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও অন্যান্য সাধারণ জনগণ, তাঁরা তাঁকে পথে আটকান। তাঁকে যেতে দেননি, বাধা দিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যখন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে প্রথম ২৬ মার্চ বেলা দুইটা-আড়াইটার সময় হান্নান সাহেব (চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি) ঘোষণা দেওয়া শুরু করেন। একে একে আমাদের যাঁরা নেতা, সবাই ঘোষণা পাঠ করেন। সে সময় জহুর আহমেদ সাহেব বলেন, আমাদের একজন মিলিটারি লোক দরকার। তখন মেজর রফিককে বলা হয়। তিনি তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আটকানোর জন্য অ্যাম্বুশ করে বসে আছেন। তিনি বলেন, আমি এখান থেকে নড়লে এই জায়গা ওরা দখল করে নেবে। ওই সময় জিয়াউর রহমানকে ধরে আনা হয় এবং তাঁকে দিয়ে ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পরে জাতির পিতার পক্ষে ঘোষণাটা পাঠ করানো হয়। কাজেই এটা নিয়ে বড়াই করার তো কিছু নেই! তারা এটা নিয়েই বড়াই করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সে সময় পাকিস্তানি সামরিক অফিসার আসলাম বেগ বাংলাদেশে কর্মরত ছিল। পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধানও হয়েছিল সে। এই আসলাম বেগ একটা চিঠি লিখেছিল জিয়াউর রহমানের কাছে। সেই চিঠিতে জিয়াউর রহমানের কার্যক্রমে সে সন্তুষ্টি জানিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আসলাম বেগ আরও লিখেছেন, ‘সে তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট, তাকে ভবিষ্যতে আরও কাজ দেওয়া হবে। জিয়ার পরিবার তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে যে ভালোভাবে আছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেই কথাটাও চিঠিতে জানিয়েছে। চিঠিটার কপিটা ছিল, পার্লামেন্টেও পাঠ করা হয়েছে। এটা ডকুমেন্ট হিসেবেও আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমাদের গেরিলারা বিভিন্ন সেনা অফিসারদের পরিবারগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। তারা খালেদা জিয়ার কাছেও এসেছিল কিন্তু তিনি গেরিলাদের সঙ্গে না গিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে চলে যান।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ফেললেন, তাঁর বউ–ছেলেকে হেফাজতে রেখে দিল পাকিস্তানিরা আর আসলাম বেগ চিঠিতে জানাল, জিয়ার কার্যক্রমে তারা সন্তুষ্ট, কেন সন্তুষ্ট জানেন? যতগুলো সেক্টরে যুদ্ধ হয়েছে, আপনারা হিসাব করে দেখেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সব থেকে বেশি হত্যা করা হয়েছে যেটার দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউর রহমান। সব থেকে বেশি হতাহত ছিল সেখানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটি কথা না বলে পারছি না। দেখলাম, বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে আগুন দিচ্ছে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবেন না। এরপর আবার দেখা গেল, কিছু চাদর কিনে এনে পোড়ানো হলো। আচ্ছা শীতকাল তো চলে গেছে, এখন চাদর পোড়ালে আর কী আসে-যায়। আমার প্রশ্ন, যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন, তাঁদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে। তাহলে বউদের কাছ থেকে সেই শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছেন না। আপনারা সবাই একটু এই কথাটা বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলব, যাঁরা যাঁরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, সবার বাড়িতে গিয়ে তাঁদের বউয়েরা যেন কোনোমতে কোনো ভারতীয় শাড়ি না পরেন; আলমারিতে যে কয়টা শাড়ি আছে, সব এনে যেদিন ওই অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করব যে আপনারা সত্যিকারে ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন। আমাদের দেশে গরমমসলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা আমদানি করি। মিজোরাম থেকে আমরা আদা আনি। মসলাপাতি, আদা ভারত থেকে যা কিছু আসছে, তাঁদের কারও পাকের ঘরে যেন এই ভারতীয় মসলা দেখা না যায়। তাঁদের রান্না করে খেতে হবে এসব মসলাবিহীন। কাজেই এটা তাঁরা খেতে পারবেন কি না, সেই জবাবটা তাঁদের দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা রং-ঢং-সং করতে ওস্তাদ, এটা আমরা আগেও দেখেছি। বাস্তব কথায় আসেন, আপনারা এই পণ্যগুলো সত্যিকার বর্জন করেছেন কি না, সেই কথাটাই আমরা জানতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে বলেন, এ বুদ্ধিটা যখন অন্য খাতে চলে যায়, তাদের মতিভ্রম হয়ে যায়, তখন আর এর কোনো দাম থাকে না, সেটা নির্বুদ্ধিতায় পরিণত হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়। কোথায় পাবে তারা গণতন্ত্র? তাদের চোখে তো স্বৈরতন্ত্রের ঠুলি পরানো। ’৭৫–এর ১৫ আগস্টের পর দেশে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে প্রতি রাতে কারফিউ বলবৎ থাকত। এমনকি তিনি ’৮১ সালে দেশে ফেরার পরও দেখতে পান রাত ১১টার মধ্যে ঘরে ফিরতে হচ্ছে, সারা রাত কারফিউ। এটাকে ‘কারফিউ গণতন্ত্র’ বা ‘মার্শাল ল’ গণতন্ত্র আখ্যায়িত করে বিএনপি এখন সে গণতন্ত্রই খুঁজে বেড়ায় কি না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অদ্ভুত কাণ্ড আমরা দেখি—অতি ডান (ডানপন্থী) ও অতি বাম (বামপন্থী) তারা এখন এক জায়গায় হয়ে গেছে। তাদের আদর্শটা কী? তাদের নীতিটা কী? তারা কোনো কিছুতেই ভালো খুঁজে পায় না। অতি বামে বেশ কিছু দল আছে, তারা একেবারে বিপ্লব করবে। যে বিপ্লব করতে করতে তারা এখন ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গেছে।’