গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনা বেগম। নাতি মোহাম্মদ রুবেলের সঙ্গে অটোরিকশায় করে তিনি এসেছেন কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে৷ জীবনে প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে সখিনা বললেন, 'ভালোই তো লাগল। চাপ দিলাম আর হয়ে গেল।'
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ভালো। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া এলাকাটি মূলত গ্রামীণ অঞ্চল। এই এলাকার কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর সময় থেকেই ভোটাররা আসছেন। নারী ও পুরুষ দুই লাইনেই মোটামুটি ভিড় আছে।
সকাল ৯টার দিকে নাতি রুবেলের সঙ্গে ভোট দিতে আসেন প্রায় শতবর্ষী সখিনা বেগম৷ ভোট দিতে ঢোকার আগে নাতি মুঠোফোনে দাদিকে দেখান কীভাবে ভোট দিতে হবে। দাদি নির্বিঘ্নেই ভোট দিয়ে বের হয়ে আসেন।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও মনের জোরে ভোট দিতে এসেছেন সখিনা বেগম। এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে ভালো লেগেছে বলে জানান তিনি।
সখিনার সঙ্গে আসা নাতি রুবেল বলেন, ‘ভোটের ব্যাপারে দাদির আগ্রহ অনেক। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগ্রহ আগেই তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন৷ মুঠোফোনে তাঁকে দেখিয়েছি, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হবে। সেটা দেখেই ভোট দিয়েছেন।’
সখিনা বেগমের কিছুক্ষণ পরই ভোট দিতে আসেন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী চিত্তরঞ্জন। তাঁর দুই পা নেই৷ এক হাতেও সমস্যা। তিনিও এসে লাইন ছাড়াই দ্রুত ভোট দেন। ভোট দিয়ে বের হয়ে তিনি বলেন, ভোট দিতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। দেশের নাগরিক হিসেবে ভোট দিতে এসেছেন৷ তিনি বলেন, ‘এই এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ। আমাদের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চলাফেরায় কষ্ট হয়৷ নতুন মেয়র যেন এই বিষয়ে গুরুত্ব দেন।’
কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৩৫৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ হাজার ১৪৮ এবং পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২০৮। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি ভালো৷ বেলা বাড়লে ভোটার বাড়বে বলে আশা করছি। ইভিএম পদ্ধতিতে হলেও ভোট দ্রুত নেওয়া যাচ্ছে।’