‘জীবনবাজি’ রেখে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দুর্বার গতিতে জীবন বাজি রেখে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলো করছে। বৃহস্পতিবারও নেতা-কর্মীরা জীবনবাজি রেখে সর্বাত্মক এই হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।
আজ বুধবার বিকেলে এক ভার্চু৵য়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়ে এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দলের মহাসচিবসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি সমমনা বিভিন্ন দল ও জোট। এ দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি আজ ভোরে শেষ হওয়ার পরপরই সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সারা দেশে ঘরবাড়িছাড়া নেতা-কর্মীদের অমানবিক জীবনযাপনের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি চলছে মাতম। বিএনপির নেতা-কর্মীরা এক কঠিন সময় পার করছেন…অনেকটা দেশছাড়া উদ্বাস্তুর মতো…সহায়–সম্বলহীন নিঃস্ব তাঁরা।
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের যেন মানবাধিকার থাকতে নেই। সংবিধানে যতটুকু মানবাধিকার আছে, সেই অধিকার প্রয়োগেরও অধিকার নেই তাঁদের। হত্যা, লুণ্ঠন ও বন্দী হওয়াই যেন তাঁদের ভাগ্যের লিখন। রাষ্ট্র বলতেই এখন শুধু শেখ হাসিনা। তাঁর নীতিই যেন হয় আমাকে সমর্থন করতে হবে, না হলে নিশ্চুপ থাকতে হবে।’
গত মঙ্গলবার হাতিরঝিলের বাসা থেকে বের হওয়ার পর ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা করে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
রিজভী দাবি করেন, আজ বিকেল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৬৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার এবং ১৪টি মামলায় ১ হাজার ৫৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের চার-পাঁচ দিন আগে থেকে আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭১০ জনের অধীন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও ৪৫৮টির বেশি মামলা করা হয়েছে।