রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে ৩০ দিন ধরে তালা ঝুলছে। কার্যালয় থেকে একটু দূরে দুই পাশে অবস্থান করছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় গিয়ে এমনটা দেখা গেছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর থেকেই সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। গত ২৮ অক্টোবর রাতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের পর কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয় থেকে ফকিরাপুলের দিকে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের কার্যালয়ের নিচে প্রায় ১০ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন। আবার কার্যালয় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে হোটেল ভিক্টরির সামনের রাস্তায় রয়েছে আরও ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য।
বিএনপির কার্যালয়ের কলাপসিবল ফটক তালাবদ্ধ। ভেতরে তিনটি প্লাস্টিকের চেয়ার একটির ওপরে আরেকটি রাখা। চেয়ারগুলোর ওপর কিছু পত্রিকা রেখে দেওয়া হয়েছে। সেসব পত্রিকা ও চেয়ারের ওপর দিন দিন জমেছে ধুলার আস্তর।
এদিকে ইসলামী ব্যাংক থেকে বিএনপির কার্যালয় হয়ে হোটেল ভিক্টরি পর্যন্ত অংশের ফুটপাত ও সামনের রাস্তা পুরো ফাঁকা। কোনো হকার বা ভ্রাম্যমাণ দোকান নেই। বিএনপির কার্যালয় ভবনের দুই পাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ পাশটি লোহার একটি কাঠামো দিয়ে আটকানো, আর উত্তর পাশের ফুটপাতে বৈদ্যুতিক একটি খুঁটির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যের অংশটিতে রশি বেঁধে রাখা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনের অংশটুকুতে পথচারীদের রাস্তায় নেমে হাঁটতে হচ্ছে।
সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পল্টন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। এই কাজে সেখানে ৩০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা আছে।
বিএনপির নেতাদের কাউকে আসতে বা ফটক খুলতে দেখেছেন কি না জানতে চাইলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, মাঝেমধ্যে এক-দুজন আসেন। সামনে দাঁড়িয়ে থেকে মুঠোফোনে কিছুক্ষণ কথা বলে আবার চলে যান। কিন্তু গেট খুলে ভেতরে যেতে কাউকে দেখেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।