বিএনপি সমাবেশের নামে বাড়াবাড়ি করলে ছাড় নয়: ওবায়দুল কাদের

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। সমাবেশের নামে বিএনপি বিশৃঙ্খলা-বাড়াবাড়ি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। এত দিন ছাড় দিচ্ছি। কিন্তু তারা (বিএনপি) যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃঙ্খলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে, সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না। সমুচিত জবাব দেব।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক। সমাবেশ করার অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি ঘোষণা করুক। কিন্তু মানুষ আতঙ্কে আছে কেন? এই আতঙ্কে মানুষ থাকবে কেন? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা জরুরি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কীভাবে হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন। এগুলো এ দেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো সাম্প্রদায়িক অশুভশক্তি ও জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। তাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক শক্তির বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশের অন্তরায়।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির আমলে আমরা ৫ বছরে ৫০ দিন ঘরে থাকতে পারিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারেননি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ করবে, যে দিন বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়। বিএনপি তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি ঘোষণা, ঢাকা দখলের জন্য এই দিনকে কেন বেছে নিল, তা তাঁরা জানেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। গণতন্ত্রই ছিল তাঁর জীবনের মূল ভিত্তি। তিনি বলেছিলেন, শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন তিনি।